শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ, প্রাকৃতিক দূষণ এর কোনোটায় নেই মালয়েশিয়া। পৃথিবীর যে কোন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন দেশের তালিকায় মালয়েশিয়া অন্যতম। এর জন্য সব থেকে বেশি ভূমিকা রাখছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। মালয়েশিয়া সার্ভিস সেক্টরের কর্মরত আছেন প্রায় তিন লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী তাদের মধ্যে অধিকাংশ রাতে দিনে দুই সিপন্টে কাজ করেন।

সার্ভিস সেক্টর মধ্যে রয়েছে আবাসিক হোটেল, রেষ্টুরেন্ট, ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। এই সেক্টর গুলোতে পরিশ্রম কম, সময় মত বেতন ভাতা পাওয়া যায় ও মালয়েশিয়ার রোদ্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়া কারনে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী এই সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী।

রাতে ও দিনে বা রাতে ৪/৫ ঘন্টা কাজের সুযোগ থাকায় বেশি আয়ের প্রতাশায়া মাত্র ৫/৬ ঘন্টা ঘুমিয়ে পার করেন এ সব প্রবাসীরা।

নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে অনচ্ছুক একজন বাংলাদেশী প্রবাসী ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া আসার পর থেকে কাজ করেন সার্ভিস সেক্টরে এর মধ্যে পাঁচ বছরি রাতে ও দিনে কাজ করেন। তবে করোনার মধ্যে সার্ভিস সেক্টরের কাজ অনেক অংশে বন্ধ থাকায় মাসে ১৫ দিন কাজ হওয়ায় গত ১৮ মাস খুব বেশি ভালো একটা সময় পার করতে পারেনি তারা।
মালয়েশিয়া সরকার প্রাধান তান সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব দেশের অর্থনীতি পূর্ণ উদ্ধার করোনা টিকা জোর দেওয়া প্রাপ্ত বয়স্ক ৯২ % মানুষের দুই ডোজ টিকা সম্পূর্ণ করে প্রায় সব সেক্টরের কাজ স্বাভাবিক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হোটেল, রেষ্টুরেন্ট, সপিং মহল গুলো আবার খুলতে শুরু করেছে আগের মত। ফলে সার্ভিস সেক্টরে আবারও কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে রাতে দিনে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

লাভলু মিয়া দেশের বাড়ি কুমিল্লায় । দশ বছর আগে থেকে মালয়েশিয়া বিল্ডিং নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন করোনার মধ্যে প্রায় দুই বছর কাজ বন্ধ থাকায় নির্মাণ সাইটের কাজ ছেড়ে দিয়ে গত ছয় মাস সার্ভিস সেক্টরের কাজ করছেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে। গত ছয় মাস কাজ করে আবারও স্বপ্ন দেখছে নিজেকে নতুন করে প্রতিষ্ঠ করার।

এমন নাম না জানা হাজার হাজার বাংলাদেশী সার্ভিস সেক্টরের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে কাজ করে নিজের ও পরিবারের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছেন। যা নিজের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি মজুদ রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।